বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে Author - Rojoni বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আজ মঙ্গলবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আজ সারা দেশেই আকাশ কমবেশি মেঘলা থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। কাল বুধবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আজ সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘলা রয়েছে। সকালে ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
কক্সবাজার উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
|