গাজার ভেতরে তল্লাশি চালানোর খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল

গাজার ভেতরে তল্লাশি চালানোর খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল 

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাদের অবস্থান।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ জানিয়েছে ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো’ ধ্বংসের জন্য গাজার ভূখণ্ডের ভেতরে তল্লাশি চালিয়েছে এবং তাদের সৈন্যরা কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে যা জিম্মিদের খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।

ইসরায়েলের ক্রমাগত বিমান হামলায় গত এক সপ্তাহে ১৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ এ পোস্ট করা ভিডিওতে আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী হামাসের বিভিন্ন আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এছাড়া হামাসের ব্যবহৃত অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল লঞ্চার লক্ষ্য করে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। এসব অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল লঞ্চার দিয়ে গাজা থেকে ইসরায়েলকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়।

বিমান বাহিনী বলছে, আইডিএফ গাজা উপত্যকাকে 'সন্ত্রাসী ও অস্ত্রমুক্ত' করার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবং ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান’ পেতে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ধরণের কিছু তল্লাশি চালিয়েছে।

ওদিকে গাজা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েল চব্বিশ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়ার পর পর গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে সরে গেছে বহু মানুষ। কেউ গাড়ীতে, কেউ ট্রাকে করে কিংবা পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে লোকজনকে।

বড় ধরণের স্থল অভিযানের আগেই গাজার উত্তরাঞ্চলের প্রায় এগার লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছিলো ইসরায়েল।


জাতিসংঘ এ ধরণের নির্দেশকে ভয়ঙ্কর হিসেবে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন গাজায় ‘নিরাপদ এলাকা’ নিশ্চিত করতে তিনি ইসরায়েলের সাথে কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলার ঘটনায় অন্তত ১৩০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং জিম্মি করা হয়েছে অন্তত দেড়শ জনকে।

অন্যদিকে এ ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১৯০০। তেল, খাবার, ঔষধ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে গাজার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে দক্ষিণ লেবাননে তাদের একজন সাংবাদিক কর্মরত অবস্থায় খুন হয়েছেন।


এরকম আরো নিউজ/আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি (রজনী) ফলো করুন। 


Post a Comment

Previous Post Next Post